আমি আপনাদের জাহান্নাম থেকে সাবধান করছি। আমি আপনাদের জাহান্নাম থেকে সাবধান করছি। আমি আপনাদের জাহান্নাম থেকে সাবধান করছি।
আমি আমার ওয়েবসাইটের প্রথম পোষ্টির মাধ্যমে সকোল বেধর্মী ভাইদের সতর্ক করছি। কারণ আমি সবার ভালো চায়, আমি চায় না কেউ নিজের পূর্বপুরূষ & বাব দাদার ধর্ম অনুশরণ করে চির-স্থায়ি জাহান্নামি হোক। যাইহোক মুসলিম হিসাবে সবাইকে সতর্ক করা আমার দায়িত্ব।
![]() |
আল-বাক্বারাহ্ -১২৬ |
আমার ওয়েবসাইটের প্রথম পোষ্ট এবং আজকের প্রথম লেকচার হচ্ছে- জাহান্নাম থেকে সতর্ক - সকোল বেধর্মী তথা' হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ লেকচার, এটা প্রথম লেকচার হওয়াতে আজকে শুধু মাএ হিন্দু ভাই -দের সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। আশা করি সকোল হিন্দু ভাই গুরুত্ব সহোকারে লেকচারটি পড়বেন।
হিন্দু ভাই/বোন- প্রিয়ো হিন্দু ভাইয়েরা, দেখুন আমরা সবাই মানুষ। আমাদের মধ্যে হিংসা, অহংকার থাকা একে বারেই উচিত না। আবার এটাও উচিত না আমার শিক্ষক একটা ভুল করলো আর আমাদেরকে সেই ভুল অনুসরণ করতে বললো আর আমরা সেটা অনুসরণ করলাম।
একটু বুঝিয়ে বলি: মনে করুন, আপনি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। আপনি প্রতিদিন ক্লাস করেন! আপনার একজন প্রিয় শিক্ষক আছেন! সে সবসময় সত্য কথা বলার জন্য উপদেশ দেন এবং এটাও বলে যাই কিছু হোক তোমরা কখনও সত্য পথ ছাড়বে না। সবসময় সত্য পথে চলবে, যে যাই ভুল করুক তা কখনও অনুসরণ করবে না। তোমরা লেখাপড়া শিখছো শিক্ষিত হওয়ার জন্য, দেখো আজ তোমাদের বাবা মা তেমন শিক্ষিত হতে পারেনি তাই তোমাদের লেখাপড়া করাচ্ছেন যাতে তোমরা মানুষেয় মত মানুষ হতে পারো। তারা যে ভুল করেছেন তোমরা যেন তা না করো।
আপনি এ'কথা শুনলেন এবং নিশ্চয় ভাবছেন আসলেই আমার বাবা-মা যে ভুল করেছে আমি তা কেন কোরবো? তারা শিক্ষিত হতে পারেনি তারা ভুল করেছেন, তাই আমাকে লেখা পড়া শেখাচ্ছেন। আমি যেন তাদের মত ভুল না করি। আমি কেন তাদের মত ভুল করবো.?
সেদিনের মতো আপনার শিক্ষক ক্লাস শেষ করলো, আপনি বাড়িতে এলেন। পরের দিন আবার ক্লাসে গেলেন! দেখলেন অন্য শিক্ষক। আপনি আপনার বন্ধুকে বললেন আমাদের স্যার কোথায়? সে আজ ক্লাসে আসতে দেরি করছেন কেন? আপনার বন্ধু বললো: কাল ক্লাস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে স্যারের সৎ কথা বলার জন্য কিছু খারাপ লোক তাকে হত্যা করেছে। আপনি কথাটা শুনেই থমকে উঠলেন! চিকণ কন্ঠে বললেন কি?
আপনি দৌড়ে চলে গেলেন আপনার প্রিয় স্যারের বাড়িতে! গিয়ে দেখলেন আপনার স্যার আসলেই আর পৃথিবীর বুকে নেই। তাকে স্যতিই সৎ কথার জন্য হত্যা করা হয়েছে।
পরের দিন আপনি আবার স্যারের বাড়িতে গেলেন, এবং আপনার স্যারের সব ঘটনা তার ছেলের কাছ থেকে শুনছেন- সে বললো আমার বাবা একজন সৎ লোক। তিনি সব সময় সত্যকে মেনে চলতেন। আমার দাদা ছিলো অ-সৎ লোক, আমার দাদার বিপক্ষে যাওয়াতে আমার দাদা তার ছেলে অর্থাৎ আপনার স্যারকে কিছু খারাপ লোকে দিয়ে হত্যা করিয়েছে। কথাটা আপনি শুনে আরো মনবল আনলেন আপনি আর কখনও সত্য পথ ছাড়বেন না। আপনার স্যারকে অনুসরণ করবেন। জিবণ মৃত্যুর পর্যায়ে গেলেও আপনি সৎ সত্য পথ ছাড়বেন না।
আপনি বাড়িতে গেলেন, ঠিক সে দিনই আপনার বাবা আপনাকে একটা অ-সৎ পথ স্মরণ করতে বললেন। আপনার বাবার কাছে তার পথই সত্য, কিন্তু আপনি জানেন আপনার বাবার পথ অসৎ মিথ্যা একটা পথ।
এখন আপনি কি করবেন? বাবার কথা মতো স্মরণ করবেন মিথ্যা পথটি.? নাকি আপনার স্যারের সত্য পথ অনু-স্মরণ করবেন..?
প্রিয়, হিন্দু- ভাই বোনেরা, যদি আপনি সত্যিই সৎ পথ অনুসরণ করতে চান, তবে এখন থেকেই সত্যকে খুজতে চেষ্টা করুন। কারোর কথায় চুপ থাকবেন না। আপনি যদি মনে করে থাকেন, আপনি সত্যবাদি তবে ভুলকে ভুল ভাবতে শিখুন। আজ আপনার পূর্বপুরূষ ভুল করেছে তাই কি আপনিও ভুল করবেন.? যদি আপনার বাবা মা আপনাকে তাদের মত ভুল না করার জন্য লেখাপড়া শেখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেন? তাহলে আপনারও উচিত আপনার পূর্বপুরূষের বা বাবা মায়ের মতো ভুল না করা। সর্বদা সত্য পথে চলা।
দেখুন আমার কথায় রাগ করবেন না, আমি জানি, আমার প্রতি রাগ করাটায় স্বাভাবিক কারণ এত দিন একটা ধর্ম অনুস্মরণ করে আজ হঠাৎ ধর্ম পরিবর্তন করবেন। এটা কেমন দেখায় তাই না..? কিন্তু এটাও সত্য যে, আপনার বাবা মা চায় আপনি সর্বদায় সৎ সত্য পথ স্মরণ করেন। তাহলে ভয় কেন?
আশুন কিছু সত্য কথা জেনেনিয়, যা হয়তো আপনার কাছে গ্রহণযগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু কি করবো বলেন? সত্য জেনেও চুপ থাকবো? নাকি মিথ্যাকে অনুস্মরণ করবো? যদি সত্যকে অনুসরণ করতেই হয় তাহলে কথাটা সবারই মানা উচিত। কারণ কাজটা তো সত্যই!!
হিন্দু ভায়েরা আপনারা সবাই জানেন এবং বিশ্বাস করেন, একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। কি ঠিক বললাম? যদি ঠিকই বলে থাকি তাহলে আপনারা কেন আজ সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টিকরছেন? যে আপনাকে সৃষ্টিকরলো তাকে আপনারা কিভাবে সৃষ্টি করেন.? কথাটা একটু বুঝিয়ে বলি!
আপনারা মূর্তিপূজা করেন? কেন করেন? আমি জানি, আপনারা একে খোদা বা সৃষ্টিকর্তা ভাবেন? তাই না! আচ্ছা তাহলে আপনি বলুন মূর্তি গুলা কিভাবে আপনাকে সৃষ্টিকরলো? কিভাবে সে আপনার সৃষ্টিকর্তা হতে পারে? কিছুদিন আগে আপনারাতো তাকেই তৈরি করলেন.? আজ তাকে পূজা করছেন। তাহলে সে আপনাকে কবে এবং কিভাবে আপনার দাদা, বাবা এবং (যেকিনা আজ পৃথিবীতে নাই,) আপনাকে সৃষ্টিকরলো?
আরো কিছু কথা..
আচ্ছা সৃষ্টিকর্তা এমনই একজন হবে যাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। আপনারাই বলেন কিভাবে সৃষ্টি কর্তাকে হত্যা করা সম্ভব।
উদহরণ দিয়ে বলি, আপনি একজন রোবট প্রকৌশলী, আপনি রোবট তৈরি করেন। এখন আপনিই বলুন আপনাকে কি আপনার তৈরি রোবট হত্যা করতে পারবে? পরবে না তাই না? সত্য বললাম তাই না? হত্যা করতে পারবে না এইজন্য কারণ আপনার কাছে এমন কিছু আছে, যা দিয়ে আপনি রোবট কে কন্টোল করতে পারবেন।
তাহলে আপনি বলেন, আপনারা পূজা শেষে কেন মূর্তিগুলোকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন? যেকিনা আপনাকে সৃষ্টিকরলো তাকে আপনারা কিভাবে, হত্যা করতে পারেন.? তাহলে আপনারা তো আপনাদের মূর্তি-খোদার থেকে শক্তিশালি হয়ে গেলেন। এটা কি আসলেই সম্ভব কখনও কি সম্ভব?
এগুলা থেকে বোঝায় যায় আপনার পূর্বপুরূষকে সরণ করে মিত্যা পথে চলছেন? আরে আপনার সৃষ্টিকর্তাতো এমন একজন হবে যাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। অথচ আপনারা কি করেন? প্রথমে তৈরি করেন আপনাদের মূর্তগুলাকে, তার পর তাকে পূজা করেন, এবং পূজা শেষে তাকে হত্যা করতে একটুও চিন্তা করেন না।
আপনারাই বলেন এটা কিভাবে সম্ভব..?
সত্য বলতে গেলে, আপনারা নিজেই জানেন এটা আপনাদের সৃষ্টিকর্তা হতেই পারেনা? তবুও কেন? মূর্তিতৈরি করে পূজা করেন? এখন বলবেন আমার বাবা মা এই ধর্ম মেনেছে বা পালন করেছেন তাই আমিও এটা পালন করছি। কি তাই বলবেন? যদি এটা বলেই থাকেন তাহলে আপনি ভূল! আপনি আপনার সৎ সত্য পথকে ধরে রাখতে পারলেন না। আপনিও আপনার বাবা মায়ের মতো ভূল করলেন। যেমনটা আপনার বাবা মা আপনার থেকে আশা করেনি। তারা চেয়েছিল আপনি যেন সব জায়গাতে সত্যকে অনি-স্মরণ করেন। সত্য যদি মানতেই হয় তাহলে সব সময়, সব জায়গাতেই সত্যকে মানবেন।
দেখুন আমি আপনাকে বলবো না। সত্য ধর্ম হিসাবে আপনি ইসলাম ধর্ম এখনই গ্রহণ করেন? আমাদের ইসলাম ধর্ম চায় "আপনি সত্য খুজে বের করুন" এবং সত্যকেই অনুসরণ করুন। তবে মনে রাখবেন, আপনার সঠিক সিদ্ধান্তো যেন মৃত্যুর আগে হয়। কারণ আপনি যদি আপনার বাবা মায়ের মতো ভূল ধর্ম নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সর্বদা চির-স্থায়ি জাহান্নাম। তাই সময় থাকতে জাহান্নাম থেকে সাবধান! জাহান্নাম বড়ই কঠিন স্থান। যেখানে কাফির ওুনাফিক ব্যক্তি চিরদিন থাকবে।
আমি মুস্তাকিন আপনাদের জাহান্নাম থেকে সতর্ক করলাম।
চির-স্থায়ি জাহান্নামি:
দুই শ্রেনির মানুষ চিরস্থায়ী জাহান্নামে যাবে। ১. কাফির, ২.মুনাফিক ব্যক্তি।
১.কাফির ব্যক্তিঃ কাফির ব্যক্তি কেন চিরস্থায়ি জাহান্নামে যাবে? মহান-আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন 'আমি সকোল গোনাহ্ ক্ষমা করতে পারি, শুধু মাএ আমার সাথে যারা শেরেক করে? তারা বেতিতো। সুতরাং আমরা লক্ষকরে দেখতে পারি কাফির ব্যক্তির জাহান্নামে যাওয়ার প্রধান কারণ মহান-আল্লাহর সাথে কাউকে শেরক করা, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা করা।
২.মুনাফিক ব্যক্তিঃ এরা হচ্ছে ঘরের শত্রু। মুনাফিক ব্যক্তি মুসলিমদের সাথে থেকেই তাদের ভাইয়ের ক্ষতি করে। গোপনে বিভিন্ন ক্ষতি করে। তাই শুধু এরা চিরস্থায়ী জাহান্নামেই যাবে না বরং এদের সবথেকে বেশি শাস্তি দেওয়া হবে।
আজ এই পর্যন্তো আশা করি 'মহান আল্লাহর রহমতে' সবার অন্তরের চোখ খুলবে, আমার দোয়া রইলো যেন আপনারা সঠিকটা বুঝতে পারেন। আল্লাহ্ আমাদের সহায়ক, আল্লাহ্ আমাদের সঠিক বুঝদান করুন। আমিন ।
সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ্ হাফেজ!!
0 Comments