জেএমবি নিয়ে কাফেরদের মিথ্যাচার | ফ্রিল্যান্সার মুস্তাকিন

যার হাতে আমার প্রাণ (আল্লাহ) তার কসম করে বলছি আগে পরে নামটা আমি কখনো শুনিনি,  জেএমবি নামটা আজ প্রথম শুনছি.... সংক্ষেপে (জেএমবি) বা জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ।

আমার জানা মতে এখন বাংলাদেশে আরব দেশগুলোর মতো আল্লাহর মুজাহিদ নাই। কেনোনা আমাদের বাংলাদেশের কোন মুসলমান এখন আল্লাহর পথে জিহাদই করে না, তারা আন্দোলন ছাড়া কিছুই বোঝে না। এইতো কিছুদিন আগে 'ভোলায় রাসূল (সঃ) প্রেমিকদের চক্রান্ত করে হত্যা করা হলো? কেউ কি জিহাদ করেছে? না করেনি, সবাই আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত। প্রশ্ন হচ্ছে নামটার উৎপত্তি করলো কে? এদের উদ্দেশ্য কি?

যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের মুসলিমরা জিহাদ করতো, তাহলে হিন্দুদের এত উগ্র দাপট দেখাতে হতো না। মুসলিমদের অত্যাচার, নির্যাতন বা জুলুমের শিকারও হতে হতো না। একবার কি ভেবে দেখেছেন? খুনির কাছে আন্দোলন করে বিচার যাওয়া মানুষগুলোর আর (জিহাদ করার মত) কতটুকু বা সাহস হতে পারে? তারপরও আমাদের মত দুর্বল মুসলিমদের নিয়ে মিথ্যাচার।

মূল কথায় বলি: জেএমবি নামটা ব্যবহার করার কয়েকটা কারণ হতে পারে, রাজনৈতিকভাবে মুসলিমদেরকে কোণঠাসা করে রাখা। বাংলাদেশের কোথাও "শাপলা চত্বর বা ভোলার" মতো ঘটনা ঘটলে, কেউ প্রতিবাদ করতে আসলে তাদেরকে জেএমবি নামে আখ্যায়িত করে কারাগারে নিক্ষেপ করা বা হত্যা করা। মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্র করা, ইত্যাদি এর উদ্দেশ্য হতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপ: ভারতের হিন্দুরা যখন কাশ্মীরের মুসলিমদের হত্যা করে, তখন ভারতীয় কোন হিন্দু সেনাকে জঙ্গি বলা হয় না অথচ কাশ্মীরের পক্ষ নিয়ে কেউ যদি কথা বলে বা মুসলিমদের জীবন বাঁচাবার লক্ষে কোন ব্যক্তি/দেশ যদি ভারতের উগ্র হিন্দু জালিমদের হত্যা করে তখন নামটা দেওয়া হয় "জঙ্গি"। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চাল মাত্র। আফসোসের বিষয় বাংলাদেশের মুসলিমদের আজ ঠিক একই জালে ফাঁসানো হচ্ছে। ইসলামকে ধ্বংস করার লক্ষে তাগুতের এই মিশন।

যে কোনো ষড়যন্ত্র সব সময় সুক্ষ থেকে সুক্ষতর হয়। মুসলিমদের এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হবে। পোষ্টি ভালোভাবে পড়ুন, বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তা করুন! দেখতে পাবেন; মুসলিমদের হত্যা করার লক্ষ্যে এটি একটি সাজানো নাটক।

Post a Comment

0 Comments