সিরিয়ার দুর্ভিক্ষের জন্য রাশিয়া দ্বায়ী

রাশিয়ার বোমা হামলার কারণে সিরিয়াতে বর্তমানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ, এই সেই রাশিয়া যারা কিনা জাতিসংঘের অন্যতম একটি মাথা। আর এই সেই জাতিসংঘ যারা কিনা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার মিশনে রয়েছে। (সত্য বলতে এরা এক একটি শিক্ষিত শয়াতান)।

দুর্ভিক্ষের ভিডিও 👉 https://www.facebook.com/1847033498897381/posts/2657165887884134/

চিন্তা করুন, শান্তি রক্ষার শ্লোগানে বিশ্ব মুসলিমদের এরা কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে.......

এসব কারণে আল্লাহর আইন ব্যতীত সকল ধরনের আইন বা শাসন ব্যবস্থাকে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ফিতনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর মুসলিমদের ততক্ষণ জিহাদ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে যতক্ষণ না এই ফিতনা পুরোপুরি দূর না হয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেন; আর তোমরা যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না বিপর্যয় দূর হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়, কিন্তু যদি তারা বিরত হয়, তবে অত্যাচারীদের ব্যতীত আর কাউকে আক্রমণ করবে না।
(সুরা বাকারাহ, ২:১৯৩)

আল্লাহ জানেন, তার বান্দাদের মধ্যে থেকে এই আয়াতটি অনেকেই পড়বে কিন্তু অল্পকিছু বান্দা ছাড়া কেউ আমল করতে চাইবে না। তাই পরের একটি সুরা'তে আল্লাহ তায়ালা বলেন; যারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রয় করে, তারা যেন আল্লাহর রাস্তায় লড়াই (জিহাদ) করে। আর যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে নিহত (শহীদ) হোক কিংবা বিজয়ী, অচিরেই আমি তাকে দেব মহা পুরস্কার। (সুরা নিসা, ৪:৭৪)

তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নারী পুরুষ এবং শিশুদের রক্ষার জন্য লড়াই (জিহাদ) করবে না? যারা দোয়া করছে হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের কে এই জালিম অধ্যস্থিত পথ থেকে মুক্তি দাও। তোমার পক্ষ হতে কাউকে আমাদের অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী করে দাও। (সুরা নিসা, ৭৫)

আল্লাহ তায়ালা জানেন - যে এবার তার হাজারও বান্দা জিহাদের দিকে এগিয়ে আসবে। যারা কিনা এক আল্লাহকে ভালোবাসে - এক আল্লাহকেই ভয় করে। কিন্তু একটি সমস্যা রয়েছে, তার বান্দারা যখন জিহাদ করতে চাইবে তখন একদল মুসলিম নামধর মুনাফিক এবং ফেরাউনের মত তাগুত শাসকেরা তার বান্দাদের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, উগ্রবাদী কিংবা খারেজি বলবে।

তাই মুমিনদের সুসংবাদ দিয়ে পরবর্তী আয়াতে 

আল্লাহ তায়ালা বললেন; যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (সুরা নিসা, ৭৬)

আল্লাহ তো তার বান্দাদের অনেক ভালোবাসেন, তাই তিনি তার বান্দাদের শিক্ষা দিতে চেয়েছেন যাতে তার প্রিয় বান্দারা তার দিকেই ফিরে যায়।

শিক্ষা দিতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন; তুমি কি সেসব লোককে দেখনি যাদেরকে বলা হয়েছিল; তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে নাও, সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর? অতঃপর তাদের উপর যখন জিহাদ ফরয করা হলো, তখন তাদের একদল মানুষকে ভয় করতে লাগলো, যেভাবে আল্লাহকে ভয় করা হয় এমনকি এর চেয়ে কঠিন ভয়। আর বলতে লাগলো; ‘হে আমাদের রব, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করলেন? আমাদেরকে কেন আরো কিছুকালের অবকাশ দিলেন না? তাদেরকে বলে দিন, দুনিয়ার সুখ সামান্য। যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাত উত্তম। আর তোমাদের প্রতি এক সূতা পরিমাণ ও জুলুম করা হবে না। (সুরা নিসা, ৪:৭৭)

ভাই আমার আপনি যদি আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসেন, তাহলে আপনার উচিত হবে আল্লাহর ডাকে সাড়া দেওয়া।

যেমনটা সাড়া দিয়েছিলেন;

০১. আবু বকর (রা)
০২. উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)
০৩. উসমান ইবনে আফফান (রা)
০৪. আলি ইবনে আবি তালিব (রা)
০৫. তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ (রা)
০৬. যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা)
০৭. আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা)
০৮. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা)
০৯. সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা)
১০. আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা)

বিনিময়ে পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। আমরা অনেকেই তাদের মত জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু তাদের মতো কাজ করতে চাইনা। মনে রাখবেন, জান্নাত “বিনামূল্যে” বা “অল্প শ্রমে” লাভ করার জিনিশ না। জান্নাতের জন্য কষ্ট করা চাই। আল্লাহর রহমত এবং দয়ার কারণে একজন মানুষ ঠিকই জান্নাতে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য চেষ্টা করা চাই। কেনোনা, আন্তরিক চেষ্টায় আল্লাহর রহমত এবং দয়ার দরজা খুলতে পারে..!!

Post a Comment

0 Comments