কোন মুসলিম ভূমিতে আক্রমণ হলে সেই ভূমির প্রতিটা মুসলিমের উপর জিহাদ ফরজ। আর আজকে নামাজ রত মুসলিমদের উপর আক্রমণ হওয়ার পরও মুসলিমরা জিহাদকে পরিত্যাগ করেছে। শুধু তাই না বিভিন্ন জায়গায় কোরআন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, কাশ্মীরে মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, এরপর কি মুসলিমরা জিহাদ করবে না?
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন: আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি-সামর্থের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তিদাতা।
-সূরা নিসা_৮৪
এরপরও একদল আলিম বলবে এখন জিহাদ জায়েজ নয়, অথচ আল্লাহ রাসূল (সঃ) বলেছিলেন; জিহাদ তো কেবল শুরু হয়েছে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত হকের উপর টিকে থেকে জিহাদ করতে থাকবে। এই আলিমদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন: রাসূল (সঃ) এর এই হাদিসটি কি তাহলে মিথ্যা? সত্যি কথা বলতে এরা হচ্ছে বর্তমান সময়ের মুনাফিক। এরা হচ্ছে তাগুতের গোলাম, জালিম নেতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য এরা এমন ফতোয়া দিয়ে থাকে।
দেখুন আজকে জিহাদ পরিত্যাগ করার জন্য মুসলিম সমাজের কি অবস্থা। আমার ভাইয়েরা, তাই আমি আপনাদেরকে জিহাদের পথে আহব্বান জানাচ্ছি। কেনোনা এটি একটি ফরজ ইবাদত। নামায যেমন ফরজ, জিহাদও তেমন ফরজ।
এরপরও অনেক মুসলিম জিহাদকে জঙ্গিবাদ বলবে, মনে রাখবেন এরাই মুনাফিক। কেনোনা জিহাদ আমার মুখের কথা নয়, এটি কোরআনের একটি বিধান। তারা হয়তো সরাসরি কোরআনকে মিথ্যা বলতে পারছে না, এজন্য ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এমন ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে।
চলুন, দ্বীনের চূড়া জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ'র পথে!
চলুন, আল্লাহর পথে......
0 Comments